স্পোর্টস ডেস্ক:
করোনোর ছোবলে ঝরে যাচ্ছে এক একটি তাজা প্রাণ। দুনিয়ার মৃত্যুর মিছিলে এ পর্যন্ত সামিল হয়েছেন ৮১ হাজার মানুষ। আক্রান্ত ১৪ লাখেরও বেশি। প্রতিদিনি হু হু করে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশও যোগ দিয়েছে এই মিছিলে। মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকারি হিসাবে ১৭ জন মানুষ মারা গেছেন। মৃত্যুর এ মিছিল থামাতে সকলকে ঘরে থাকার অনুরোধ করেছেন জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ডেনমার্ক থেকে বাংলাদেশি অধিনায়ক বার বার একটি কথাই বলেছেন যদি পরিবারকে ভালোবেসে থাকেন তাহলে ঘরে থাকুন।
কারণ আপনার ওপর নির্ভর করছে আপনার পরিবারের ভবিষ্যৎ। আপনি নিজে আক্রান্ত হওয়া মানে আপনার পরিবারের অন্যদের আক্রান্ত করা। তাই দয়া করে ঘরে থাকুন।
প্রিমিয়ার লীগ বন্ধ হওয়ার পর ছবি এঁকে সময় কাটছিল জামাল ভূঁইয়ার। তবে মন পড়েছিল ডেনমার্ক ও জার্মানিতে। করোনা ভাইরাসের কারণে পরিবার-পরিজন নিয়ে চিন্তিত ছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ডেনমার্কে তার বাবা-মাসহ অন্যরা আছেন। আর জার্মানিতে থাকেন তার স্ত্রী। তাই অনির্দিষ্টকালের জন্য লীগ বন্ধ ঘোষণা হওয়ায় জামাল আর বসে থাকেননি। পরিবারকে কাছে পেতে নিজ উদ্যোগে টিকিট কেটে ঢাকা ছাড়েন। প্রথমে যান ডেনমার্কে। জার্মানি থেকে সেখানেই চলে এসেছেন তার স্ত্রী।
করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশে চলছে কার্যত লকডাউন। ডেনমার্কেও অবস্থাও প্রায় একই রকম। সবধরনের খেলা বন্ধ থাকায় ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে নিজের বাড়িতেই আছেন জামাল ভূঁইয়া। অবশ্য এই সময়েও ফিটনেস ধরে রাখতে সব চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই মিডফিল্ডার। প্রতিদিন সকাল বেলা নাশতার টেবিলে বসার আগে ঘাম ঝরিয়ে নিচ্ছেন। বাকিদের উদ্বুদ্ধ করতে এই অনুশীলনের ভিডিও দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
শুধু ঘরে নয়, ঘরের বাইরে গিয়েও জামাল অনুশীলনের এই চর্চা করছেন। রাস্তার এক পাশে গাড়ি চলছে, অন্য পাশে দৌড়াচ্ছেন। অবশ্য করোনার কারণে দূরত্ব মেনে চলতে দেখা গেছে। আবার সেভাবে লোকজনও ছিল না। উঁচু সিঁড়ি ভাঙছেন একের পর এক। কাক্সিক্ষত জায়গায় পৌঁছে আবার পেছনের দিকে নেমে আসছেন। এভাবেই চলছে তার নিজেকে ফিট রাখার কৌশল।
ডেনমার্কে থাকলেও নিয়মিত দেশের খবর রাখছেন সাইফ স্পোর্টিংয়ের এই মিডফিল্ডার। খবর রাখছেন সতীর্থদেরও। সোমবার ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পেয়ে ভড়কে যান জামাল। মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, এই ভাইরাস দমনে ঘরে থাকা ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। তাই আমাদের উচিত ঘরে থেকে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। দেশের জনগণকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে জামাল বলেন, প্লিজ আপনারা পরিবারকে সময় দিন। ঘরে থাকুন।
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সতীর্থদের এগিয়ে আসার খবরও চোখ এড়ায়নি জামাল ভূঁইয়ার। এসব নিয়ে জামাল বলেন, বিষয়টি আমার খুব ভালো লাগছে। আমি প্রতিনিয়ত ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। বলেছি আমার যদি কোনো কিছু করার থাকে আমি করতে প্রস্তুতি আছি।